উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁয়ে কমছে তাপমাত্রা বাড়ছে শীত। ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার দুর্ভোগ।
প্রতিদিন উত্তরের হিমেল বাতাসে কমতে শুরু করছে তাপমাত্রা। দিনের তুলনায় রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে যারা জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরে বসবাস করছেন তাদেরকে এ শীত প্রতিবছরের মতো কষ্টসাধ্য ও কর্মহীন করে তুলছে।
রাতসহ দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশার সাদা চাদরে ঢেকে থাকছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলাসহ অধিকাংশ প্রত্যন্ত অঞ্চল। এই এলাকায় কিছুদিন থেকেই চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাটে যানবাহন লাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে। জেলা জুড়ে শীতের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় অনেকটা দুর্বিষহ অবস্থা নেমে এসেছে।
দিনের বেলা আবহাওয়া কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত থাকছে শীত। আর এ সময়ে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় নিম্ন আয়ের লোকজনকে রাস্তার পাশে খড় কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায়। শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিম্ন আয়ের মানুষজন দ্রুত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সহায়তা চেয়েছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফিরোজ আলম জানান, এই শীতে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া জনিত কারণে হাসপাতলে আছে দেখা যাচ্ছে।